অনলাইন ডেস্ক ::
পাকিস্তানে নিযুক্ত এক মার্কিন কূটনীতিককে দেশত্যাগে বাধা দিয়েছে দেশটির সরকার। গত মাসে রাস্তায় গাড়ি চাপা দিয়ে মটরসাইকেল আরোহী এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ ওঠায় ওই কূটনীতিককে পাকিস্তান ছাড়তে বাধা দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত কূটনীতিক কর্নেল জোসেফ এমানুয়েল হলকে নিতে শনিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি উড়োজাহাজ পাঠানো হয়েছিল বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। কিন্তু পাকিস্তান সরকার কর্নেল হলকে দেশ ত্যাগের ছাড়পত্র দেয়নি।
তবে এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকার বা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কেউ মুখ খুলতে রাজি হয়নি। গত ৭ এপ্রিল ইসলামাবাদের উত্তরের দামান-ই-কোহ এলাকায় একটি চৌরাস্তায় গাড়ির সঙ্গে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে এর আরোহী আতিক বেগ (২২) মারা যান।
ঘটনাস্থলে থাকা একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ট্রাফিক সিগন্যালে লাল বাতি জ্বলে থাকলেও একটি সাদা রঙের গাড়ি সেটি অগ্রাহ্য করে প্রচণ্ড গতিতে অন্যপ্রান্তে থাকা একটি মটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পরে জানা যায়, কর্নেল হল নিজেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
ঘটনার পর পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে কর্নেল হল মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। যদিও মার্কিন দূতাবাস থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
নিহত আতিকের বাবা ইসলামাবাদ হাই কোর্টের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেন এবং কর্নেল হলকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানান।
শুক্রবার ইসলামাবাদ হাই কোর্ট কর্নেল হলের বিরুদ্ধে রুল জারি করে বলেন, তিনি বেকসুর খালাস পাবেন না। কর্নেল হলের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা’ জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে পাকিস্তানকে ‘মিথ্যাবাদী ও প্রতারক’ বলার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক অনেকটা শীতল হয়ে গেছে।
ট্রাম্পের টুইটের পরপরই পাকিস্তান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিল, তারা আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করবে না।
সূত্র: বিবিসি
পাঠকের মতামত: